আমাদের পুত্র আলেখ্য

বাড়ির লোক সবসময় বলতে থাকে ছেলেটি নাকি শুনতে পায়না। এটি কি হয়? এটি অবিশ্বাস্য। কিন্তু কিছুদিন পর ভুল ভাঙলো, ছেলেটি কানে শুনতে পায় না। শুনতে না পেলে কথা বলতে পারবেনা। কি হবে উপায়? অবশেষে বুদ্ধদেব বাবুর সঙ্গে পরিচয় হলো। তাঁর ছেলে শুনতে পায় না কিন্তু কথা বলছে। তাদের সঙ্গে দুর্গাপুরে সাহস প্রতিষ্ঠানে এসে যোগাযোগ হলো এমন একটি দিনে যে দিন অভিভাবক সভা চলছিল। ঐ দিন অনেক ছেলে মেয়েদের দেখলাম। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। তখন মনের মধ্যে সাহস সম্পর্কে একটু বিশ্বাস জন্মালো। তারপর সাহস এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ছেলের ১৩ মাস বয়সে কানের মেশিন লাগিয়েছি। এক বছর পর এখন কয়েকটি শব্দ বলা শুরু করেছে। এখন আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। সাহস এর প্রতি এতটাই বিশ্বাস এসেছে যে অন্য কিছু ভাবতেই পারিনা। প্রত্যেকের কাজ করতে যে অসুবিধা হয় তাঁর সমাধান প্রতি মাসের প্যারেন্ট মিটিং এ সুন্দর ভাবে আলোচনা হয়।

অবশেষে বলতে পারি, সাহস আমাদের মনে সাহস ও প্রেরণা দিয়েছে। সাহস ছিল বলে আমরা হতাশার জীবন থেকে নতুন পথের দিশা পেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস অন্যান্য ছেলেদের মতো আমাদের ছেলেরও অসুবিধা কাটবে। ঈশ্বরের ধৃত রূপে যেখানে সাহস আছে – আমাদের আস্থা ও ভরসা পূর্ণ মাত্রায় বজায় রাখছি। সাহস এর কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

মিতা ও মৃনাল কান্তি মিশ্র,

তমলুক, পশ্চিম বঙ্গ